আন্দোলনের মুখে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ পদত্যাগ করলেন উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর

পূর্ব বাংলা ডেক্স!
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। একইসাথে উপ–উপাচার্য প্রফেসর কাজী শামীম সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর তৌফিক সাঈদ, প্রক্টর আহমেদ রাজীব চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ ও এইচআর পরিচালক খুরশিদুর রহমানও পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইফতেখার মনির। তিনি বলেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বার্ধক্যজনিত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে উপ–উপাচার্য ও ট্রেজারার পদত্যাগ করেছেন।

জানা গেছে, এর আগে গত দুইদিন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বুধবার থেকে তিনটি ক্যাম্পাসে তালা দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপাচার্য, উপ–উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ। পদত্যাগপত্রে অনুপম সেন লিখেন, ‘আমি বার্ধক্যজনিত কারণে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে আজ ৬ ডিসেম্বর (২০২৪) হতে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

কাজী শামীম সুলতানা উপ–উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যা বিভাগের মূল পদে যোগদানের আবেদন জানান পদত্যাগপত্রে। তিনি বলেন, ‘আমাকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম–এর উপ–উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আমি আমার তৎকালীন কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ থেকে লিয়েন ছুটি নিয়ে গত ২০ মার্চ ২০২২ তারিখ পূর্বাহ্নে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম–এ উপ–উপাচার্য পদে যোগদান করি। বর্তমানে আমি উক্ত পদে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম–এর উপ–উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি এবং আমার পূর্ববর্তী কর্মস্থল– চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে মূল পদে যোগদানের অনুমতি প্রার্থনা করছি।’ প্রফেসর তৌফিক সাঈদ লিখেন, ‘ব্যক্তিগত কারনে আমি আর ট্রেজারার পদে কাজ করতে পারছি না।’

জানা গেছে, উপাচার্যসহ প্রশাসনের কয়েকজনের পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার–বৃহস্পতিবার জিইসি মোড়, হাজারী গলি ও ওয়াসা মোড় তিনটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা তালা দেওয়ায় অনুষ্ঠিত হয়নি কোনো ধরনের ক্লাস–পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত জিইসি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকিলিপিও দেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে পদত্যাগের খবর শুনে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।