ছদাহা মুহাম্মদীয়া খাইরীয়া আলিম মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের অপসারণ দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক!
বিগত ২০১৮ সালে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চকরিয়ার অধিবাসী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা মুহাম্মদীয়া খাইরীয়া আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। মাদ্রাসা অধিদপ্তরের জনৈক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে বড় অংকের ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন মাদ্রাসার সভাপতি কে বড় অংকের টাকাই ম্যানেজ করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করেন। এই দুর্নীবাজ অধ্যক্ষ নিয়োগ লাভ করার পর প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আকড়াই পরিণতি করেছে। মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় সচেতন জনগণ এই প্রতিবেদককে জানান দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ যতদিন এই মাদ্রাসায় থাকবে,উক্ত মাদ্রাসা দুর্নীতিমুক্ত হবে না, তারা আরো জানান মিথ্যা ভাইচার করে এবং বিভিন্ন অজুহাতে মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উক্ত মাদ্রাসার ছাত্রের অভিভাবক বাদী হয়ে তাঁর বিভিন্ন দুর্নীতি জাল জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে সাতকানিয়া আদালতে দুই দুইটি মামলা দায়ের করেছে । এই মামলার রায় হলে তাঁর কঠোর শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি গভর্নিং বডি নিয়ে মামলার কথা গোপন রেখে গভর্নিং বডি নির্বাচন করার জন্য প্রিজাইড়িং অফিসার নিয়োগ দেওয়া সত্বেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই অযোগ্য দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ পাওয়াই বারবার অবৈধ পন্থায় কাজ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে। বিধি পরিপন্থী কাজ করতে গিয়ে মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করে যাচ্ছে। জনৈক অভিভাবক সদস্য উক্ত মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারর সম্প্রতি উক্ত মাদ্রাসার বিগত পাঁচ বৎসরের আয় ব্যয়ের অডিট করার জন্য একটি আবেদন করেন,আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়ায়, তিনি আগামী সোমবার সরাসরি মাদ্রাসায় তদন্ত করতে যাবেন বলে সুত্রে জানাগেছে। স্থানীয় সচেতন জনগন দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন কে অপসারণ করে মাদ্রাসাটি কে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাইয়েছেন।