পূর্ব বাংলা ডেক্স!
বদলির নামে সারোয়ার নামের একজন নামধারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছেন মর্মে অভিযোগ। তার সঙ্গে সখ্য রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী ও দালালদের। হাজার হাজার বদলি প্রত্যাশীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার তথ্য প্রমাণ সবার হাতে হাতে।
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে বৃহস্পতিবার সংবর্ধনার নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে কতিপয় নামধারী শিক্ষক। প্রকৃতপক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের কোনো অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শিক্ষা উপদেষ্টা জানেন না এবং কোথাও যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতিও দেননি।
এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার রাতে এ তথ্য জানাইয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি জানান, এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জানি না। যাওয়া তো দূরের কথা।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বুধবার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে অনলাইনভিত্তিক বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এটি ছিলো বেসরকারি শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া। বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে যারা নিজ এলাকা ও পরিবার থেকে দূরে আছেন তাদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে শিক্ষা উপদেষ্টা অনলাইন ভিত্তিক এ বদলির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এমন প্রেক্ষাপটে বেসরকারি শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ২৬ ডিসেম্বর তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে সংবর্ধনা দেয়া হবে বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, প্রকৃতপক্ষে এদের কোনো অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শিক্ষা উপদেষ্টা অবহিত ছিলেন না এবং সেখানে যাবার ব্যাপারে সম্মতি দেননি।
বদলির নামে সারোয়ার নামের একজন নামধারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে সখ্য রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী ও দালালের। হাজার হাজার বদলি প্রত্যাশীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার তথ্য প্রমাণ সবার হাতে হাতে।
শিক্ষা উপদেষ্টার নামে অপপ্রচার করার অভিযোগে সারোয়ার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
জানা যায়, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানিয়ে ও সাক্ষাত না করেও তা প্রচার করে ফায়দা নেওয়ার অভিযোগ সারোয়ার গংয়ের বিরুদ্ধে।
চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে সারোয়ারের মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।