পূর্ব বাংলা ডেক্স!
মাওলানা আব্দুল মালেক কে ধর্ম মন্ত্রনালয় ঢাকা জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর বাড়ী কুমিল্লা, তিনি দেশবিদেশ থেকে অনেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক সফর করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি এরই মধ্যে বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য বই হলো- উম্মাহর ঐক্য: পথ ও পন্থা, ঈমান সবার আগে, প্রচলিত ভুল, হাদিস ও সুন্নায় নামাজের পদ্ধতি, তারাবির রাকাত সংখ্যা ও ঈদের নামাজ, তাছাউফ ও তত্ত্ব বিশ্লেষণ, প্রচলিত জাল হাদিস, তালিবুল ইলমের পথ ও পাথেয়, আল-মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি)।
পূর্ব প্রাচীন ও আধুনিক হাজারো কিতাব তার নখদর্পণে। সময়ের মূল্যায়নের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন। ঘড়ির কাঁটা ধরে চলেন তিনি। ছাত্রদেরও তিনি সেই শিক্ষাই দেন। সারা দেশের নির্বাচিত ছাত্ররা তার কাছে পড়াশোনার সুযোগ পান। তাদের তিনি সেভাবেই গড়ে তোলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, সজ্জন, অমায়িক ও সাদাসিধে প্রকৃতির। দ্বীন ও নীতি-আদর্শের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেন না। নিয়মের খেলাপ কিছু পছন্দ করেন না।
জ্ঞান, গবেষণা ও পাণ্ডিত্যে দেশের আলেম সমাজের কাছে ব্যাপক পরিচিত নাম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক। তার ইলমি (জ্ঞানের) গভীরতার কথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন। ইসলামি জ্ঞানের এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার মনে করা হয় তাকে। এজন্য যেকোনো বিরোধপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সবার দৃষ্টি থাকে তার ওপর। বর্তমান সময়ে মাসয়ালা-মাসায়েল ও ফতোয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বিতর্ক দেখা দিলে সবাই তার শরণাপন্ন হন। বিশেষ করে ফিকাহ (ইসলামি আইন) ও হাদিসশাস্ত্রে তার গবেষণার ব্যাপ্তি শুধু দেশে নয়, উপমহাদেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ আলেমদের কাছে ইলমি ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ইলমিবিষয়ক সভা-সেমিনারে প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মাওলানা আব্দুল মালেক।