জনগণের আকাংখা পূরণে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে– অধ্যাপক আহসান উল্লাহ

*
পূর্ব বাংলা ডেক্স!
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, জনগণের আকাংখা পূরণে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা মানুষকে ভালো কাজের দাওয়াত দিয়ে থাকি। পবিত্র কোরআনে আদল (ন্যায় ও ইনসাফ), ইহসান ও আত্মীয়তার হক আদায়ের কথা বলা হয়েছে। ন্যায় ও সততার জন্য জামায়াতই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক দুইজন মন্ত্রী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। জামায়াতের প্রতি মানুষের ভালোবাসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সংগঠনের কাজকে আরও মজবুত করার পাশাপাশি জনগণের সাথে সম্পর্ক আরও ব্যাপকতর করতে হবে।

আজ ৩০ এপ্রিল (বুধবার) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিআইএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুরা অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, ড. হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান, সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহাম্মদ জাকারিয়া, চট্টগ্রাম-১৬ সংসদীয় আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান চৌধুরী, মাওলানা নুরুল হোছাইন, কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা নিজাম উদ্দীন, মাওলানা কামাল উদ্দীন, মুহাম্মদ নুরুল হক, মাওলানা আবুল ফয়েজ, মাওলানা ইসমাঈল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, মাওলানা আরিফুর রশীদ, মাওলানা আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী প্রমূখ।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে সর্বদা তৎপর থাকেন। জনগণকে অধিকার বঞ্চিত করে অতীতে কোন শাসক দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারেনি। আগামীদিনে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তাদেরকে জনগণের হয়ে কাজ করার জন্য ছাত্রজনতা শিক্ষা দিয়েছেন। জনগণ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্ধারিত সময়ে সংস্কার শেষে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আপনাদের এই ভূমিকা জনগণ চিরদিন স্মরণ রাখবে, ইনশাআল্লাহ।

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, তা পবিত্র কুরআনের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের বিপরীত। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশের মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারিবারিক কাঠামো ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী এই নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিল করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, সমাজের পরতে পরতে দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগের সন্ধানে অপেক্ষা করছে। যেকোন সময় জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য ত্রাস চালাতে পারে। ফ্যাসিবাদের দোসররা আস্তে আস্তে উঁকি দিয়ে বের হচ্ছে। তাই জেলার আইন শৃংখলা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা আরও বৃদ্ধি করার আহবান জানান।