বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন কেরানিহাট শহর শাখার উদ্যোগে শিক্ষা বৈঠক

বেলাল হোছাইন!

জুমাবার (২২ আগস্ট) সকাল ৮ ঘটিকা হতে ১১ ঘটিকা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই শিক্ষা বৈঠক কেরানিহাটের একটি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

কেরানিহাট শহর শাখার আমীর মাওলানা নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং শাখা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই একাডেমিক কর্মশালায় সাংগঠনিক থানা শাখা হতে মানোন্নয়নের জন্য বাছাইকৃত শতাধিক অগ্রসর কর্মী অংশ গ্রহণ করেন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আমীর এডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।
সংগঠন পদ্ধতি সম্পর্কে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া।
দারছুল কুরআন পেশ করেন দক্ষিণ জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আরেফ জামী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর এডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, “ইসলামকে যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদেরকে আগে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে ইসলামের আলোকে সাজাতে হবে। তাদের ব্যবহারিক জীবন সাধারণ মানুষের ব্যবহারিক জীবন থেকে আলাদা এবং উন্নত হতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব গুণাবলী সাহাবীদেরকে শিখিয়েছেন সেসব গুণাবলী ইসলামী সংগঠনের কর্মীদেরকে অর্জণ করতে হবে। কেবল শ্লোগান ধর্মী না হয়ে বাস্তব ধর্মী হতে হবে। আদর্শ থেকে দূরে থাকার কারণে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনে বেশী সমস্যা সৃষ্টি হয়। রাসূলের জীবন ছিল সাধাসিধা। তাই অতি বিলাসী জীবনের পেছনে ছুটা উচিৎ নয়। যুগে যুগে যারা আল্লাহর পথে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তারা হালাল পথে সুন্দর জীবন যাপন করেছেন। আমাদেরকেও তাদের অনুসরণে নিজেদের জীবন চালাতে হবে। জীবনের প্রয়োজনে সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। তবে হালাল উপায়ে আল্লাহ যা দেন তার উপর খুশী থাকতে হবে। এজন্য নিজেদের পরিবারকে ইসলামী পরিবার বানাতে হবে”।

তিনি আরো বলেন, “চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিটি আসনে জামায়াতের প্রার্থীগণ সবাই অত্যন্ত যোগ্য এবং সম্ভাবনাময়। তাদেরকে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে।”

বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, “মানুষের দ্বারা পরিচালিত সংগঠনে বিভিন্ন ভুল-ত্রুটি হতে পারে। তাই নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা খুব জরুরী। সকল কর্মীকে নিয়মিত অধ্যয়ন, নিজেদের স্কিল বৃদ্ধি, আমল ও সাংগঠনিক শৃংখলা অনুসরণের মাধ্যমে মানোন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অনৈতিক পথ অবলম্বন করা যাবে না।”

মাওলানা আরেফ জামী আল কুরআনের সূরা ফাতাহ হতে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “বাইয়াতবদ্ধ জীবন যাপন ছাড়া মুসলিম উম্মাহর মুক্তি সম্ভব নয়। বাইয়াত হলো আল্লাহর পথে চলার জন্য মজবুত শপথ নেয়া। বাংলাদেশে ইসলামী আদর্শের পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের জন্য লক্ষ লক্ষ বাইয়াতবদ্ধ জনশক্তি দরকার।”

….